Wednesday 11 November 2015

কুরআন এবং হিকমাহ্ বলতে রসূলুল্লাহ (সাঃ) এর সুন্নাহ্ অর্থাৎ হাদিসকেই বুঝায়


মহান আল্লাহ্ বলেন,

“তিনি তোমাদের প্রতি অবতীর্ণ করেছেন কিতাব এবং হিকমাহ্ যা দ্বারা তিনি তোমাদেরকে উপদেশ দান করেন।...” -সূরা বাক্বারাহ্, ২/২৩১


এই আয়াতে আল্লাহ্ কিতাব এবং হিকমাহ্ বলতে আল্লাহ্ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা আলাদা দু’টি বিষয় বুঝাননি, বরং একটি বিষয়কেই বুঝিয়েছেন। কারণ আয়াতের পরের অংশে আল্লাহ্ বলেছেন “যা দ্বারা”তিনি তোমাদের উপদেশ দান করেন। এই “যা দ্বারা”শব্দটি হচ্ছে “বিহী”। আর এই “বিহী”শব্দটি একবচন অর্থাৎ একটি বিষয়। যদি কিতাব এবং হিকমাহ্ দু’টি বিষয় হতো তাহলে আল্লাহ্ “বিহী”একবচনের পরিবর্তে “হুমা”দ্বিবচন ব্যবহার করতেন। কিন্তু আল্লাহ্ “হুমা”দ্বিবচন শব্দটি ব্যবহার না করে “হু”একবচন শব্দটি ব্যবহার করে প্রমাণ করে দিয়েছেন কিতাব এবং হিকমাহ্ একই বিষয় অর্থাৎ শুধুই কুরআন-আর কুরআন-ই অবতীর্ণ করেছেন।


উত্তর ঃ এই ব্যাখ্যাটি একেবারেই মনগড়া। যারা আরবী ব্যাকরণে অজ্ঞ তারাই মূলত এভাবে কুরআনের অপব্যাখ্যা করে থাকে। কারণ, আরবীতে সংক্ষেপ করার জন্য দ্বিবচনকে কখনো একবচন দেখানো হয়। যেমন, মহান আল্লাহ্ বলেন,


যারা স্বর্ণ এবং রূপা জমা করে রাখে এবং তা আল্লাহ্’র পথে ব্যয় করেনা...” -সূরা তাওবাহ্, ৯/৩৪


এই আয়াতে আল্লাহ্ তায়ালা স্বর্ণ এবং রূপা দু’টি বস্তুর কথা বলেছেন। কিন্তু আয়াতের পরবর্তী অংশে এই দু’টি বস্তুকে “হা” একবচন ব্যবহার করে বলা হয়েছে তা আল্লাহ্’র পথে ব্যয় করেনা। এখন বুঝের বিষয় হচ্ছে দু’টি বস্তুকে বুঝানোর জন্য দ্বিবচন “হুমা”ব্যবহার না করে “হা”একবচন ব্যবহার হল কেন? মূলতঃ আরবী ব্যাকরণে দ্বিবচনকে কখনো একবচন দেখানো হয়।


অতএব, বুঝা গেল যে, কিতাব এবং হিকমাহ্ শব্দটিকে “হু” একবচন শব্দটি দ্বারা উল্লেখ করার কারণে কখনই এই দু’টি বিষয় এক নয়। বরং সংক্ষেপ করার জন্য তা একবচন দেখানো হয়েছে। অর্থাৎ কিতাব বলতে কুরআন এবং হিকমাহ্ বলতে রসূলুল্লাহ (সাঃ) এর সুন্নাহ্ অর্থাৎ হাদিসকেই বুঝায়।

No comments:

Post a Comment